নবম-৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বিজ্ঞান
নবম-৯ম শ্রেণির ৫ম সপ্তাহের বিজ্ঞান
উপরের গ্লাসের পানিতে কয়েকটি দূষক পদার্থ (যেমনঃ অদ্রবণীয় ময়লা - আবর্জনা, বালি, লবণ ইত্যাদি) মেশাও। এখন এই দূষিত পানিকে বিভিন্ন প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বিশুদ্ধ কর।
ক) পানি বিশুদ্ধকরণ সম্পূর্ণ প্রক্রিয়াটি লিখে উপস্থাপন কর।
খ)গ্লাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে
ক) গ্লাসের পানি বিশুদ্ধকরণের কয়েকটি প্রক্রিয়াঃ
স্ফুটন :এই প্রক্রিয়াটির সঙ্গে আমরা সবাই পরিচিত। খুব ভালােভাবে পানি ফুটালে পানিতে উপস্থিত জীবাণুগুলাে মরে যায়। ১৫-২০ মিনিট পানি ফোটাতে হয়। তারপর ঠাণ্ডা করে সেঁকে পান করতে হয়। এটি পানি বিশুদ্ধকরণের সবচেয়ে সহজ প্রক্রিয়া।
পাতন:প্রথমে একটি পাত্রে পানি নিয়ে সেটাকে তাপ দিয়ে
বাষ্পে পরিণত করা হয়। তারপর সেই বাষ্প ঘনীভূত করে বিশুদ্ধ পানি সংগ্রহ করা হয়। এই প্রক্রিয়াটি ওষুধ তৈরির জন্য এবং পরীক্ষাগারে পরীক্ষা - নিরীক্ষার কাজে ব্যবহার করা হয়। কারণ এই প্রক্রিয়ায় বিশুদ্ধ করা পানিতে অন্য কোনাে পদার্থ থাকার সুযােগ নেই। তবে প্রক্রিয়াটি ব্যয়বহুল।
ক্লোবিনেশন : পানিতে ব্লিচিং পাউডার যােগ করলে উৎপন্ন ক্লোরিন বিভিন্ন জীবাণুকে সারিত করে মেরে ফেলে। পানিতে জীবাণু থাকলে জীবাণুনাশক ব্যবহার করে তা মেরে ফেলতে হবে। এ ক্ষেত্রে তৃীবাণুনাশক হিসেবে ক্লোরিন গ্যাস ও ব্লিচিং পাউডার অন্যতম। এ ছাড়া কিছু পদার্থ আছে, যেগুলাে পানির জীবাণুমারার কাজে ব্যবহার করা হয়। বন্যার সময় বিশুদ্ধ পানির খুবই অভাব থাকে। আবু বাড়ির চারপাশের পানিতে নানা ধরনের জীবাণু থাকে। ওই অবস্থায় পানি বিশুদ্ধ করার জন্য ট্যাবলেট বাকিট দেওয়া হয়। এতে থাকে সােডিয়াম হাইপােক্লোরাইড। এর মধ্যে থাকা ক্লোরিন পানিতে থাকা জীবাণুগুলাে সাবিত করে মেরে ফেলে। বােতলজাত পানির কারখানায়ও এ পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
পরিস্রাবণঃ পানিতে থাকা অদ্রবণীয় ধুলাবালির কণা এবং নানা রকম ময়লা আবুর্জনার কণা থাকতে পাবে এগুলােকে পরিস্রাবণু পদ্ধতিতে বের করা হয়। পানিকে বালুর স্তবের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করলে অদ্রবণীয় কণাগুলাে আটকে যায়। এ ক্ষেত্রে সূক্ষ ফাকযুক্ত কাপড়ও ব্যবহার করা যায়। আমাদের অনেকের বাসায় ফিল্টার রয়েছে। খােলু ছােট ছােট নুড়িপাথর কিংবা বালুকণার মতাে পাথরের একটা স্তর থাকে। এটা পরিস্রাবণের কাজ করে।
গ্লাসে তৈরিকৃত দূষিত পানি বিশুদ্ধ নাক রে পান করলে তােমার কী কীস মস্যা হতে পারে? বিশ্লেষণ কর
২. গ্লাসে তৈরিকৃত পানি বিশুদ্ধ না করে পান করলে আমার যে যে সমস্যা হতে পারে তা উল্লেখ করা হলােঃ পানিবাহিত রােগ হলাে সেসব বােগ, যা জীবাণু দ্বারা দূষিত পানির মাধ্যমে বিস্তার লাভ করে। অর্থাৎ অপরিশুদ্ধ পানি পান করার মাধ্যমে অথবা সেই পানি বিভিন্ন কাজে ব্যবহারের ফলে যে ধরনের ব্যাধি সংক্রামিত হয়, তাকেই পানিবাহিত বােগ বলে। অনেক ধরনের পানিবাহিত রােগ রয়েছে, যেমন ডায়রিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফযেড ও জন্ডিস পানিতে মিশে থাকা ব্যাকুটেরিয়া, ভাইরাস প্রভুতি জীবাণুর মাধ্যমে ডায়রিয়া রােগ ছড়ায়। কলেরাও একটি মারাত্মক রােগ। দূষিত জীবাণুযুক্ত পানি পান করলে এ রােগ হয়। পাতলা পায়খানার সঙ্গে প্রচুর বমি কলেরার লক্ষণ | সূলমনেলা টাইফি এবং প্যারাটাইফি নামক পানিবাহিত জীবাণুর কারণে যে রােগটি হয় তাকে টাইফয়েড বলে। তন্ডিস একটি পানিবাহিত ভাইবাসনিত রােগ। এটি লিভারকে নষ্ট করে ফেলতে পারে। জন্ডিসের ফলে রােগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।বেশির ভাগ পানিবাহিত রােগের লক্ষণ হলাে পাতলা পায়খানা, বমি, জ্বর ও পেটব্যথা। সুতরাং বলতে পারি উসরিক্ত দূষিত পানি পান করলে এসব রােগ হবার অনেক সম্ভাবনা থাকে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন
irfan171097.mi@gmail.com